ধর্ম মানবের, মানবিক ও সামাজিক চিন্তা, ব্যাবহারও নৈতিকতার বিষয় নিয়ে কথা বলে

ধর্ম

ধর্ম মানবের, মানবিক ও সামাজিক চিন্তা, ব্যাবহারও নৈতিকতার বিষয় নিয়ে কথা বলে । মুলত প্রাচীন কাল থেকেই ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন আচার ও সংস্কৃতির ধারক হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে । যা প্রজন্ম পড় প্রজন্ম মানুষ জন্মগত ও সামাজিক ভাবে শিখে বড় হয় ।

পুস্তক প্রণোদিত ধর্ম মানুষকে ,শান্তি আর ভালোবাসার পথ দেখায় । আমরা মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে একে পরিবর্তন করি , বানাই রাজনীতি আর ইমশনের হাতিয়ার।

ঐতিহাসিক ভাবে ধর্মের ভাবধারা পেগান থেকে প্রোফেসি তে এসে কিছুটা স্থিতি পেয়েছে । মানুষ জন্মগত ভাবে রাশভারি ব্যাক্তিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয় , তার সাথে দৃশ্যমান কোন বস্তু রুপক ভাবে মানুশকে বেশি প্রভাবিত করে। মানুষের মাঝে মানুষকে দেবতায়ন করা এক প্রচলিত মানব অনুভুতি। যার কারনে নাম এসেছে জিউস, রাম , হেরা । দুর্ভাগ্যজনক  ভাবে প্রোফেসি নির্ভর ধর্ম গুলো ও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয় । রোমান পেগান রা জিসাস কে বানিয়ে ফেলেছে ঈশ্বরের পুত্র ,আর অনেক তথাকথিত মুসলমান রা পুত্র না বানালেও হজরত মুহাম্মদ সঃ কে বিধাতার পরিপূরক হিসাবে শিরক করতে শুরু করে  । ইসলামের বেসিক প্রিন্সিপাল অনুযায়ী শুধূমাত্র সৃষ্টিকর্তা সকল পারফেকশনের সরভেচ্চ লেভেল , এবং ব্যক্তি মুহাম্মদ বিধাতা নয় যে সে ১০০ পারসেন্ট পারফেক্ট । তিনি মাত্র একজন মেসেঞ্জার , একজন মনোনিত মানুষ যার সকল মানবিক গুনাবলির সরবোচ্চ বিদ্যমান।

ধর্মের মূল প্রাপ্তি সামাজিক মূল্যবোধ । পাপ ও পুণ্যের বিচার । ভাল ও মন্দের ধারক । ধর্ম সেই আদিম কাল থেকেই মানবের মানইবিক উৎকর্ষ বিকাশের প্রথম উপায় । যদি ও ধর্মের নামে অনেক রক্তের দাগ লেগে আছে ইতিহাসে ঝরছে এখন ও । তারাও সেই ভুলে যাওয়া প্রাচিন শিক্ষার মানুষ ।

ফিজিকাল সাইন্স নিয়ে ধর্ম কথা বলে না কিংবা সাইন্স এর সাথে এর কোন সম্পর্ক ও নেই । বিজ্ঞ্বান যেখানে ম্যাটারিয়াল স্ট্রাকচার নিয়ে কথা বলে ধর্ম বলে মানুষের কমপ্লেক্স মানবিক অনিভুতি আর বৃহৎ সামাজিক প্রভাব নিয়ে । তাই বিজ্ঞ্বান দিয়ে ধর্মের ঐতিহাসিক প্রাপ্তি বিচার করা বোকামি ।যদি বলেন ধর্ম থেকে মানব জাতি কি পেল ?সুবিধার্থে ধর্ম বলতে মেজর আব্রাহামিক রিলিজিয়ন ধরে নিচ্ছি ।

আব্রাহামিক রিলিজিয়ন ইহিদি,ক্রিসচিয়ান আর ইসলাম থেকে আজ পর্যন্ত মানব জাতি কি পেয়েছে তার বিবরন বড়ই ব্যাপক এবং তার পূরোটাই কমপ্লেক্স ।

এর জন্য মোসেস এর সময়ের চলুন। ইতিহাস বলে ফরাও রা নিজেদের ইস্বরের মনে করতেন এবং সেখানে ছিল না নৈতিকতার কোন বালাই। যাকে খুসি তার সাথে সেক্স , সেক্স এর ক্ষেত্রে কোনো পারিবারিক মা , বাব , ভাই বোন ব্যাপার ছিল না । যার ক্ষমতা তার সকল কিছু করার অধিকার। যাকে বলা যায় প্রচণ্ড অধপতিত সমাজ যেখানে বিচার হতো অর্থ আর ক্ষমতা । সেই সমাজ কে মোসেস পরিবর্তন করতে শিখিয়েছেন । দেখিয়েছেন যুক্তি , দিয়েছেন ব্যাক্তির অধিকারের স্বপ্ন ,দিয়েছিলেন এক নৈতিক সাম্য সমাজ ।

এই সকল পরিবর্তন প্রজন্ম পড় প্রজন্ম মানুষ পালন করেছে । ইতিহাসে অনেক জুইস জনপ্রিয় শাসক ও শান্তিপ্রিয় সভ্যতার খোজ পাওয়া যায় যারা অনুসারি ছিলেন মোসেসের । আবার সেই শিক্ষা মানুষ ভুলে গেছে তাই এসেছিলেন জিসাস , তিনিও পরিবর্তন করেছেন আবার ম্মুরৃত্যু বরন করেছেন প্রাচিন শিক্ষা ভুলে যাওয়া মানুষদের হাতে ।

এর পড়  আমাদের ৫০০ খ্রিস্টাব্দের আরাবিয়ান পটভহুমিতে ফিরে যেতে হবে , কি ছিল তখনকার সংস্কৃতি ও কেমন ছিল সে মানুশগুলোর মনোভাব । আজকের মক্কা কিংবা ইসলামিক সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয় নি  , নগ্নতার এখন যে সরবেচ্চ লেভেল দেখা যায় নুড বিচ , সেক্স পার্টি তার ৬০০ খ্রিস্টাব্দের ভার্শন টা অনেক আধুনিকি ছিল তখন । মেয়েরা শুধু এখনকার মত বক্ষ দেখিয়ে বেরাত না অনেকে নগ্ন হয়েও কাবা তাওয়াফ করত , এমন কি কাবার ভিতরেও সেক্স করত অনেকে । সেই ধংশ প্রাপ্ত সমাজ কে হজরত মুহাম্মদ সঃ পরিবর্তন করেছেন , আজকের মক্কা দেখলে তার কিছু প্রমান পাওয়া যায় ।

সব সময়ই নাস্তিকদের মুহাম্মদ সঃ কে নিয়ে করা মন্ত্যব্যের প্রধান অস্ত্র থাকে নারী ও যুদ্ধ । হ্যা এটা সত্যি ইতিহাস এবং হাদিসে এমন কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে যাতে মুসাম্মদ নারীকে কুলক্ষণা বলেছেন , বিধর্মী হলেই হত্যা করার হুকুম দিয়েছেন সহ আরো অনেক । সাথে বিভিন্ন জুইস ওয়েবসাইট গুলো মুহাম্মদের বিবাহ কিংবা সেক্স লাইফ নিয়ে অনেক রসাত্বক প্রোপোগান্ডা ছড়িয়েছে সব সময় । তাই মুহাম্মদ সঃ নিয়ে তার ব্যাক্তিগত লাইফ নিয়ে মাতা মাতি হবে অযৌক্তিকতার প্র্যাকটিসের সরভেচ্চ প্রমান । তার বলে যাওয়া হাজারো ফিলোসফিকাল হাদিস রয়েছে , রয়েছে নিরদেশনা মুলক বক্তব্য । তা দিয়ে একজন মানুষকে বিচার করতে হবে । তাকে বিধাতার সাথে তুলনা করে নয় ।

 

।বস্তুগত পরিবেষ নিরভর আমাদের অবস্তূগতো জীবন। । মানুষের চিন্তা বা অনুভহুতি কে কখনো কনো গন্ডীর ভিতর ডুকানো সম্ভব নয় । যেখানে অনেকেই বস্তূগত পরিবেষ টাকেই মুল ধরে এগিয়ে চলছেন।

চলুন চোখ টা বন্ধ করি  । অন্ধকারে আপনার যে জগত টা দেখতে পারছেন তা সুধুই আপনার । এখানে আপনার কেন্দ্রিভহুত অবস্তূগত জগত।

1 thought on “ধর্ম মানবের, মানবিক ও সামাজিক চিন্তা, ব্যাবহারও নৈতিকতার বিষয় নিয়ে কথা বলে”

  1. The point of view of your article has taught me a lot, and I already know how to improve the paper on gate.oi, thank you.

Comments are closed.