ছাত্রশিবিরকে খোলা চিঠি – এবার বদলান

 

 

 

প্রিয় ছাত্রশিবির ভাইরা

পত্রের প্রথমেই আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই রগকাটা শুভেচ্ছা ।আশা করি আপনারা সবাই ভালই আছেন , যদিও হাসিনা আসার পর আপনারা কিছুটা দৌড়ের উপর আছেন ,তবুও ইদানিং বাসের কেল্লা মারফত আপনাদের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী ।

যেখানে সেখানে আপনাদের জঙ্গি বলে আপনাদের ধরা হচ্ছে তাই আমি খুবি দুঃখিত ।চলুন সবাই তাই একমিনিট চেয়ার থেকে দাড়িয়ে কম্পিউটার এর মনিটর বন্ধ করে নিরবতা পালন করি ।

ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পরকে আমার ধারনা ক্লাস সিক্সে থাকতে ।স্কুলের আসে পাসে কিছু বড় ভাই গোছের মানুষ নামাজ , কালামের কথা বলতেন টিফিনের সময় ছাত্র দের জন্য স্বতন্ত্র জামাতে নামাজে পড়তেো যেতে উৎসাহিত করতেন , অনেকদিন মনে হয় নামাজ পড়াও হয়েছিল আপনাদের পেন পেনা নিতে

। আপনাদের কথাবার্তা আমার খুবি ভাল লাগত , একদিন ফরম ধরায় দিলেন বললেন সদস্য হইতে , আমিও রাজি হইয়া গেলাম আপনাদের কিশোর কণ্ঠ পত্রিকা টা পড়ে ভালই লাগসিল তাই ।পরের দিন বাসায় বললাম বাপেরে , বাপে এক কথায় না কইরা দিল, ছোট মানুষ বেশি কিছু জানতাম না । কিন্তু না পাওয়া জিনিসের প্রতি কৈশোরে আগ্রহ থাকে বেশি তাই না জানাইয়া ফরম পুরন কইরা দিলাম। কিছু বই পাইলাম ,রুটিন পাইলাম , নামাজ কয় অক্ত পরসি তা লেখার লাইগা । ছোট বেলা থাইকা রুলস রেগুলেশন ভাল লাগে না ,ডেইইলি নামাজ পড়তে হইব ,তা আবার রুটিনে লিখতে হইব ,মিথ্যা কথা কিভাবে লিখব , তাই কিছুদিন পর থাইকা বড় ভাইদের দেখলেও না দেখার ভান করতাম কিংবা পলাইতাম। সেই থেকে আপনাদের সাথে আমার দেখা সাক্ষাত বন্ধ।

এর পর অনেকদিন কেটে গেসে এখন ভার্সিটিতে পড়ি , এতদিনে আপনাদের সম্পরকে অনেক জেনেছি । আপনারা নাকি রগ ঙ্কাটা ,

বিভিন্ন জায়গায় পোলাপাইনের রগ কাইটা দিসেন বহুত গ্যাঞ্জাম নাকি করেন।

বড় হইসি এখন ইক্টু বুঝি। কৈশোরে মাযহে নাস্তিকতা শুরো, পুড়া নাস্তিক যৌবনের শুরুতে। এই কিছুদিন আগে আস্তিকতার মঝে বসবাস। ইসলাম কে উপ্লভধি করার সুযোগ হয়েছে কিছুটা । তার পর থেকে বলতে পারেন আপনাদের কিছুটা পছন্দ করি , কিন্তু আপনাদের নেতা দের নয়।

ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যেশ্য , আদর্শ যা বলে তা থেকে আপনাদের খারাপ বলার কোন পথ নেই। কিন্তু আপনারা খারাপ এই কারনে যে আপনারা জামায়াত ইসলামির এক সংগঠন যারা বিতর্কিত তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ।

ম্যস লেবেলের ছাত্র শিবিরের ছেলে পেলে দের একটি ধারনা একাত্তরে নিজামি ,মুজাহিদ; যা করে ছিলেন তা ধর্ম বাঁচাতে । ইসলাম কে রক্ষা করতে ।

কিন্তু ইসলাম কোন অপরাধের প্রমান ছাড়া কোন হত্যা কে সাপোর্ট করে না । যেখানে একাত্তরে পুর ব্যাপারটাই ছিল রাজনৈতিক। ধর্ম কে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে তার ফায়দা তুলতে চেয়েছিল। যেখানে ২৫ মার্চের গনহত্যাও তাদের মনে কোন দাগ ফেলতে পারেনি ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য শেন হলে অবিচারে হিন্দু ছাত্র দের হত্যা কোন খালিফাতের আদর্শে করা হয়েছিল তা নিয়ে তাদের কোন প্রস্ন ছিল না । শত গনহত্যা অবিচার তাদের মনে প্রশ্ন করে নি । কারন তারা ছিলেন রাজনৈতিক স্বার্থপর ।সেখানে ধর্মের কোন স্বার্থ ছিল না ছিল কেবলি ব্যাক্তি স্বার্থ । এবং যেই স্বার্থপরতা আমরা বর্তমান আওয়ামীলীগ , বিএনপির মাঝে দেখে থাকি । ক্ষমতার লড়াই । কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় তা নিয়ে যুদ্ধ , তা যে কোন মুল্যেই হোক।

মানুষের সেবা থেকে রাজনিতি আজ ব্যাবসার জায়গা । এখন আর কেউ সেবা করতে আসে না আসে ব্যাবসা করতে ।

আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিবিরকে আমি পছন্দ করি , অন্য যে কোন ছাত্র সংগঠন থেকে । আদর্শ এবং সদস্যদের একাগ্রতা এখানে অনেক বেশি। এবং বাংলাদেশে সত্যিকারের ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থা ও খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্যেশ্য নিয়ে আপনাদের যাত্রা পথে \’\’ জামায়াত
ইসলামী \” আর নিজামি মুজাহিদের নাম সরিয়ে নিলেই মহান উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস

—রগ কেটে নয় ভালবেসেই পরিবর্তন সম্ভব

— নিজামি , মুজাহিদ যারা আসলেই অপরাধি ছিল তাদের বিচারের বিরোধ না করা

— জামায়ত ইসলামী কলঙ্ক ময় অধ্যায় থেকে নিস্তার( রি ব্রান্ডিং করা মানে নাম চেঞ্জ < সাথে নেতা চেঞ্জ ) ।

দেশের সংস্কৃতি আজ পাশ্চাত্য নগ্নতায় উদ্বেলিত ,মানুষের মাঝে নেই নৈতিকতার আদর্শ,রাজনিতির মাঠ আজ ব্যাবসায়িদের নিয়ন্ত্রণে । ধিরে ধিরে ধংশ হয়ে যাচ্ছে ধর্মীও মুল্যবোধ । ইসলাম নিয়ে কথা বললে আজ জঙ্গি বলা হয়। তাই পেছনের সব গ্লানি ভুলে নতুন সপ্ন দেখতে হবে
যা আসলেই বাস্তব হবে ।

ইতি
আপনাদের ছো ট ভাই

সকলের উপর সান্তি বর্ষিত হোক

1 thought on “ছাত্রশিবিরকে খোলা চিঠি – এবার বদলান”

Comments are closed.