আজ আমরা দেশ কে তুলে দিয়েছি নিয়তির হাতে । মনে মনে বলি ” এ দেশ কে দিয়ে কিছু হবে না ” কি করব পারলে তো এই দেশেই থাকতাম না ” রাজনীতির কোনো পরিবর্তন বাঙ্গালী করতে পারব না , কিচ্চু হবে না ? এটাতো আমাদের আধুনিক শিক্ষিত মানুষের অনুভহুতি , আর ওই দিকে

রাজনীতির ব্যাবসায়িরা একদল আরেক দলকে দোষারোপ করেই মাতিয়ে রেখেছেন অপামর জনগোষ্ঠী কে ।কিছুদিন আগে কেয়ারটেকার সরকারের সময় দেশবাসী আশা দেখেছিল হয়ত পরিবর্তন আসবে । কিন্তু পরিবর্তন আসে নি ।আর কোনো মূলনীতি ছাড়া পরিবর্তন ও আসবে না ।

শেষ পর্যন্ত ভারতের জন্য অসাংবিধানিক ভাবে দেশের মর্যাদা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ অপমান করে তিতাসের বুকে বাঁধ দিয়ে চুরান্ত দেশদ্রোহিতা করেছেন রাজনীতিবিদরা ।বাংলাদেশ কে ভারতের এক নিষ্পেষিত অঙ্গরাজ্য করার বাসনা চরিতার্থে তাদের কাজ , একাত্তরের রাজাকারদের কথা মনে করিয়ে দেয় ।

আর এই সব রাজনীতিবিদদের নস্ট লোভের কারনের আমার মা আমার দেশকে রক্ষিতার মতন আচরন সহ্য করতে হচ্ছে। ভারত থেকে শুরু করে ক্ষমতাধর যে কোন দেশই আমার মাকে অপমান করতে দ্বীধা করেনা। তারমধ্যে এখন সবচেয়ে আগ্রাসি ভারত। ১৯৭১ সালে লোভি পাকিস্তানিদের কাছ থেকে মায়ের ইজ্জত বাচিয়েছিলাম।

রাজাকার
রাজাকার

 

রাজনীতিবিদেরা যতই স্বাধিনতার চেতনার কথা বলুক আর ব্যবসা করুক যুদ্ধ কিন্তু করেছিলাম এই আমরাই।বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরাই। আজ ২০১১ সালের শেষে ২০১২ সালের নতুন যুদ্ধ এই আমাদেরই করতে হবে, কোন নস্ট রাজনীতিবদের আমাদের মায়ের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যাবে না।১৯৭১ সালের জামাত, ২০১১ সালের আওয়ামিলীগ বিএনপি সব একই সাপ, সবার দাতেই বিষ। আমাদের উচিত এখনি সোচ্চার হওয়া। গরিব হই, সাধারন জীবন যাপন করি কিন্তু একজন গরীব কৃষানির মত স্বাধিন, সন্মানের ও অধিকারপুর্ন জীবন কাটাই, কোন ধণি বদমাসের লোভ লালসার শিকার কোন রক্ষিতা হয়ে নয়। আসুন তিতাসকে বাচানোর মাধ্যমে শুরু করি আরেক ৭১

৪০ বৎসর আমরা চুপ ছিলাম ,এখন ও আছি হয়ত চুপ থাকব।কারন আমরা ভাবি কিছুই করার নেই । তবে তিতাসের বুকে দেওয়া বাঁধ আজ আমাদের চুপ থাকতে দেয় না ।
তাই একুশের প্রভাতফেরিতে আমরা যাব তিতাসে।ভেঙ্গে দেব পরাশক্তির দেওয়া বাঁধ ।প্রয়োজনে রক্ত দেব ,জানিয়ে দেব বাঙ্গালী মরে যায় নি । আরেকবার জানিয়ে দেব বাঙ্গালী কে পরাধীন রাখতে পাড়ে নি ব্রিটিশ ,পাকিস্তানী কেউ , আর তার চেষ্টা করা হবে বোকামি।

তিতাস কি কেউ তার বাপের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে পেয়েছেন ? নাকি কারো বাপ দাদারা কামলা খাটাইয়া তিতাস নদী বানাইসে ?

আমার বাংলাদেশের নদী তিতাস ,আমার নদী তিতাস । এখন তার বুকে চিরে চলে ভারতের গাড়ি। ওই গাড়ি তো তিতাসের বুকে চলে না চলে প্রত্যেকটা বাঙ্গালির কলিজার উপর দিয়া ।

এই মিছিল কোনো রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা নয়। এটা গন মানুষের মিছিল। কারন অর্থের বন্যার ভেসেছেন বিরোধোদলিওরথাও ।ধর্ম ,দল নির্বিশেষে শুধু বাঙ্গালদেশি পরিচয়ে আমরা লড়ব । ভাসানি ভেঙ্গে যেতে পাড়েন নি ফারাক্কা ,আমরা তার সৈনিক ভেঙ্গে দেব তিতাসে বাঁধ ।

________________হয় বিদেশ ভাগুন না হয় তেতে উঠুন সংগ্রামে

আমার বাংলাদেশ আর কিছু দেশদ্রোহী নব্য রাজাকার

Leave a Reply