ভালবাসা কাকে বলে ? উহা কত প্রকার কি কি এবং দেখতে কেমন ?

ভালবাসা কাকে বলে ?

 

এই প্রশ্নের এক সর্বজনীন মেটারিলিস্টিক  উত্তর দেওয়া যায় \” ভালবাসা হোলো অপজিট জেন্ডারের প্রতি মানুষের ফিজিক্যাল এট্র্যাকশন , যেখানে শারীরিক সৌন্দর্য ও সামাজিক স্ট্যাটাস মুখ্য ভুমিকা পালন করে ,আর তার সব কিছুর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সেক্স \” (সবাই কি একমত ? !

এর অশিক্ষিত উত্তর \” নারী পুরুষের লিলাখেলা \”
ভাবুক ভাবুক উত্তর ঃ \” এক মন দুই দেহ \”
পোলাপান্দের উত্তর ঃ \” এইটা রুমে গেলেই বুঝা যায় \”
নেশাখোরদের উত্তর ঃ \” ভালবাসা বলতে আসলে ভাল বাড়ি \”
মাগিবাজ ছেলেদের উত্তর ঃ \’\’ মামা এটা পুরাটাই সাইজের উপর ডীপেন্ড করে লগে কিছু পাত্তি \”
টাঙ্কিবায মেয়েদের উত্তর ঃ \” আমি কার , কে কাহার , তুমি কার , কবে কার ? \”

মূলত টিন এজ এ আসার পড় থেকেই সকল ছেলে মেয়েদের একটু প্রেম করার বাসনা জাগে মনে ।বাংলা ছবি কিংবা হিন্দি ছবির অনুকরনে কারো চেহারা ভাল লাগলেই তাকে গিয়ে আই লাভ ইউ বলা, টাঙ্কি মারা কিংবা ফোন নাম্বার পেয়ে গেজানো আমাদের স্বাভাবিক ব্যাপার । বন্ধুদের মধ্যে মেয়েদের ,ছেলেদের নাম্বার একচেঞ্জ এমনকি গ্রালফ্রেন্ড ,বয়ফ্রেন্ড বিনিময় ও আজকাল অহরহ হচ্ছে। অপরিচিতের সাথে ফোন সেক্স করা র নতুন কালচার আজকাল অনেকে মাইক ছেড়ে বলার ইচ্ছা প্রকাশ করে ।

love

বেশির ভাগ মানুষ জীবনের এক পর্যায়ে সেক্স কে পুজি করে জীবন চলতে শুরু করে ,এমনকি তারুন্যের শুরুতেই অবচেতনভাবেই এই ফিলসফি নিয়ে অনেক কে বেড়ে উঠতে দেখা যায় । যার প্রতিরূপ কিছুদিন পড় পড় সঙ্গি পরিবর্তন ও কাউকে ভাল না লাগার এক আচরন গড়ে উঠে। সব ক্ষেত্রেই তা সেক্স পর্যন্ত না হলেও গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড তকমায় অনেক কে ঘুরা ঘুড়ি করতে দেখা যায় । এমনকি মাঝে মাঝে পার্ট নিয়ে অমুক আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড ছিল তা নিয়ে ফুটানি করাও এক ধরনের স্বাভাবিক ব্যাবহার এর পর্যায়ে স্থান করে নেয় ।

কিন্তু আসলে জীবনটা কি এইরকম নিজের মত ? , দেহ কেন্দ্রিক আনন্দের অতিসহ্যই কি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ?

আপনার চারপাশে দেখুন এইরকম ব্যাপারই আজ ঘটছে বেশি । একবার প্রেম এ ব্যার্থ হবার পড় সবছেয়ে ভাল ছেলেটিকেও পরবর্তীতে সেক্স নির্ভর রিলেশনশিপে বিশ্বাস করতে দেখা যায় ।

কিন্তু আসলে ভালবাসা কি ?
এইভাবে রাস্তা ঘাটে প্রেম খুযলে , মেন্টাল সাপোর্ট এর জন্য হাজার মানুষের সাথে ভাব বিনিময় করলে , চোখ দিয়া দিনে দুই তিন হাজার বার, ধর্ষিত হতে চাওয়া নারীদের ধর্ষণ করে কি লাভ ?

জাস্ট ফ্রেন্ড থেকে একদিন ফ্রেন্ড উইথ ভেনিফিট রামায়ন রচনা করা , নামে বেনামে হাজারো নামহিন সম্পরক তৈরি করে মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা একাকীত্ব কে বুঝ দেওয়া যে আমি একা নই । আমার তো কত সঙ্গী । কিন্তু আসলে সত্যি টা কি ? আমরা কি আসলেই একা নই । ভালবাসা খুজতে খুজতে খুজতে অবচেতন ভাবে তৈরি করি এক নরক , যে নরকের অধিপতি সেই নামহীন সম্পরক গুলো ।

কিন্তু আমরা কজন জানি ভালবাসা বিধাতার এক মহান স্বর্গীয় নিদর্শন । ভালবাসা খালি মুখ দিয়ে বলিলেই হয় না । আমরা কজন বিধাতার কাছে প্রাথনা করি এক জীবনসঙ্গীর জন্য । শুধু একজন । কয়জন আমরা অপেক্ষা করি
সে আসবে বলে ? যে ভালবাসবে আর ভালবাসতে শিখাবে ।

অপেক্ষা তো দুরের কথা , সারাদিন এই নাম্বার অই নাম্বার , অমুক ফ্রেন্ড , অমুক ছোটবোন ,তমুকের শালি < ফ্রেন্ডের স্টুডেন্ট , এই পাড়ার সুন্দরি , ফেসবুকের সেক্সি গার্ল ।

শেষ কবে ইসলামের কথা গুলো ইন্টু মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছি ? কবে অবনত রেখেছি নিজের চোখ ?
নারী দেহের লোভনীয় বাক গুলো দেখা থেকে কবে নিজেকে বঞ্চিত করেছি আমরা ।এইভাবে যতই পর নারীর প্রতি দুর্বলতা দেখাব আমরা কিংবা গেজানোর চেষ্টা করব ততই বাশ খবো আমরা ।

অপেক্ষা করুন , শুধু অপেক্ষা

জীবনে আনন্দ আর সুখের দাতা সেই সৃষ্টিকর্তার সাথে কবে শেষ বার কথা বলেছিলাম ? কবে শেষবার ধন্যবাদ দিয়েছিলাম মন থেকে খটি বাংলায় ? তা মনে করা অনেক কঠিন ।

ভালবাসা কাকে বলে তা কেবল সেই সৃষ্টিকর্তার উপলব্ধিতেই বিদ্যমান ।বিদ্যমান তার কাছ থেকে চাওয়ার মাঝে ।যে দেখা করিয়ে দেবে আমি এড্যাম এর এক নারী এভ \” কে ।

 

সেই সৃষ্টিকর্তা ব্যাতিত কে জানে কে আমার পাজরের এক হাড়ের জন্মান্তরের সঙ্গি ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *